1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ , ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুন্য থেকে কোটিপতি হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১৬-০৯-২০২৪ ০৪:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-০৯-২০২৪ ০৪:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন
শুন্য থেকে কোটিপতি হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ

মোঃকাইয়ুম মাহমুদ,সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় অন্যর টাকা আত্নসাৎ করে শুন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গার হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ আহমাদের বিরুদ্ধে৷
 
ফিরোজ আহমেদ তাড়াশ থানার সরাপপুর বোয়ালিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে৷
ফিরোজের বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর৷মাটি কেটে চালাতেন সংসার৷
 
ফিরোজ অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে তাড়াশের মাধাইনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন৷
 
পরে বগুড়া সাইক মেডিকেল ইন্সটিউট এ ডি এম এফ কোর্স করেন৷পড়াশোনায় ভালো হওয়ার পারিবারিক ভাবে দেখে নিজের বোনের সাথে একযুগ আগে বিয়ে দেন মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম৷
 
বিয়ের পর তার হাসপাতালের দ্বায়িত্ব দেন ফিরোজ কে৷এতে ফিরোজ আলাদিনের চেরাগ হাতে পান৷হাসপাতালে শুরু করেন লুটপাট৷২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নানা অনিয়ম লুটপাট শেষে নিজেই একটি হাসপাতালের মালিক বনে যান ফিরোজ ৷
 
লুটপাটের টাকায় নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করে হেলথকেয়ার হসপিটাল৷হাসপাতাল৷ হাসপাতাল খুলেই মেতে ওঠেন নারকীয় যজ্ঞে৷ভুল রিপোর্ট প্রদান,পরিক্ষা না করেই নিজেদের ইচ্ছামত করে বানান যে কোন প্যাথলজীর রিপোর্ট,হাসপাতালে রোগী এলেই ডাক্তার না থাকলেও নার্স,আয়া দিয়ে করাতেন সিজার৷
 
এতে অনেকেরই বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷বাচ্চা মারা গেলেই অদৃশ্য একটি ছায়া শেল্টার দিতেন ফিরোজ কে৷মূহুর্তেই যত সামান্য টাকা দিয়ে করে দিতেন মিমাংসা৷
 
এভাবে ফিরোজ হয়ে ওঠেন আরো বেপোরোয়া৷রোগী চিকিৎসা নিতে এলেই ইচ্ছামত বসাতে থাকেন মোটা অংকের বিল৷এতে রোগীর পরিবার হিমশিম খেলেও টাকা দিয়েই বাচ্চা ও রোগীদের নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না৷এতে কসাই নামেও পরচিতি পায় ফিরোজ ৷
 
নিজের নামের সামনে ডাক্তার লেখার কোন অধিকার নেই,তার পরেও ডাক্তার লাগিয়ে বনে গেছেন বড় ডাক্তারের সারিতে৷তার রয়েছে বিশাল এক মার্কেটিং টিম৷যারা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসলেই পান মোটা অঙ্কের টাকা৷এভাবেই ফিরোজ হাসানের ব্যাবসার রমরমা অবস্থা৷ 
 
এ বিষয়ে মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম জানান ফিরোজ আমার হাসপাতালের দ্বায়িত থাকা অবস্থায় আমার হাসপাতালে চালিয়েছে লুটপাট বোনের স্বামী বিধায় কিছু বলা হয় নি৷আমার টাকায় হাসপাতাল দিয়ে এখন তার কর্মকান্ড সত্যিই নেক্কার জনক৷
এ বিষয়ে হেলথ কেয়ার হাসপাতালের মালিক ফিরোজ হাসান কোন কথা বলতে চান না৷
 
ডি এম এফ কোর্স করে ডাক্তার লিখতে পারবেন কি না এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ রাম প্রদ রায় কে একাধিক বার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেন নি৷

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ