রাজশাহীর আদালত চত্বরে নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) মোকাদ্দিম হোসেন শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতারণার একটি মামলায় র্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নগরের রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা ঈদগাহ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, বিয়ে পড়ানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে মোহনপুর থানায় কাজি শাওনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে মোহনপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাজি মোকাদ্দিম হোসেন শাওন অধিক মুনাফার আশায় প্রায়ই বিভিন্ন বয়সের ছেলে-মেয়েদের টাকার বিনিময়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি করে থাকেন বলে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।কাজি শাওনের বাড়ি মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মোবারক হোসেন। তিনি মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি। আর তাঁর ছোট ভাই মোস্তফা হোসেন ভিক্টর একই উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের কাজি। দুই ভাই নিজেদের সাংবাদিক হিসেবেও পরিচয় দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে নানা কায়দায় প্রতারণার বহু অভিযোগ রয়েছে।এ দুই ভাই প্রতারক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুয়া রেজিস্টার বুকে বিবাহ নিবন্ধন করেন। ফলে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া কাবিননামা দিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না অনেকে। তাঁরা মোহনপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলেও রাজশাহীর আদালত চত্বরে ঘোরাফেরা করেন। শহরে শাওনের ব্যক্তিগত চেম্বারও রয়েছে। সেখানে বিয়ের নামে প্রতারণা করার কারণে আগেও গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে।
১৪ জুলাই দুপুরে রাজশাহীর আদালত চত্বরে এ দুই ভাই এক নারীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে শাওন ওই নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। তখন অনেক মানুষ জড়ো হন। সবার সামনে ওই নারীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন শাওন। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সরিয়ে দেয়।