বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতা কামনা করে চেম্বারে রোগী দেখার ফি ও অপারেশনের আয়ের সব টাকা এতিমখানায় দান করেছেন রাজশাহীর এক চিকিৎসক। এছাড়া এতিম শিশুদের পেটপুরে উন্নতমানের খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি চিকিৎসক মহলে প্রশংসায় ভাসছেন। শনিবার (২ আগস্ট) তিনি এসব টাকা দান করেন। রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে তিনি বিষয়টি জানান।
ওই চিকিৎসকের নাম রাশেদুল ইসলাম রাজু। তিনি রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ডা. রাজু ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ছাত্রশিবির করার কারণে ওই সময় তাকে হাসপাতালে ইন্টার্নী করতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অর্থপেডিক্সে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
জানা গেছে, শনিবার (২ আগস্ট) সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। তার সুস্থতা কামনায় এক দিনের আয়ের সব টাকা দান করার সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহীর অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. রাশেদুল ইসলাম রাজু।
শনিবার তিনি রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে চেম্বারে রোগী দেখেন এবং কয়েকজন রোগীর প্লাস্টারও করেন। তবে এদিনের আয় হওয়া সব টাকা তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার আটুয়া হাফেজিয়া কওমিয়া এতিমখানা মাদরাসায় দান করে দিয়েছেন। এছাড়া সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ওই এতিমখানায় সব শিক্ষার্থীর জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাশেদুল ইসলাম রাজু বলেন, ডা. শফিকুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তার অসুস্থতায় আমরা অত্যন্ত ব্যাথিত। ঢাকায় তার অপারেশন হয়েছে। এখানেও তিনি দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন। বিদেশের চিকিৎসা ও অপারেশনের সুযোগ থাকলেও দেশেই তিনি অপারেশন করিয়েছেন। তিনি দ্রত সুস্থ হবেন বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তার দ্রুত সুস্থতা ও রাজনীতির মাঠে ফিরে আসা জরুরি।
ডা. রাজু বলেন, সেজন্য এটা মহান আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনায় আমার এক দিনের ভিজিটের ও অপারেশন করার সব টাকা এতিমখানায় দান করেছি। সোমবার (৪ আগস্ট) এতিম শিশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। জামায়াতের আমিরকে মহান আল্লাহ দ্রুত সুস্থতা দান করবেন বলে আমরা আশাবাদি।