পাভেল ইসলাম মিমুল:
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল কালাম আজাদ তার পেশাগত দক্ষতা, মানবিকতা ও জনবান্ধব আচরণের মাধ্যমে একজন প্রগতিশীল পুলিশ কর্মকর্তার উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে উঠেছেন। অপরাধ দমন, মাদক নির্মূল, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে তাঁর নেতৃত্বে বোয়ালিয়া মডেল থানা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
সদা হাস্যোজ্জ্বল ও নিবেদিতপ্রাণ এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর আরএমপিতে যোগদান করেন এবং বেলপুকুর, চন্দ্রিমা ও বোয়ালিয়া থানার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে অল্প দিনেই জনগণের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। তাঁর নৈতিকতা ও প্রশাসনিক দক্ষতার কারণে থানার সামগ্রিক চিত্র এবং পুলিশের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, যা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে।
ওসি আজাদের নেতৃত্বে থানার এসআই, এএসআই ও নারী পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, ‘পুলিশ জনতার সেবক, জনতাই পুলিশের শক্তি’। রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার তাঁর উদ্যোগ পুলিশ প্রশাসনের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মানবিকতার নজির
বড় অপরাধের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যা সমাধানেও ওসি আজাদ অসাধারণ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সম্প্রতি, এক বৃদ্ধা মহিলার পাওনা টাকা সংক্রান্ত অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তিনি নিজে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করেন। অভিযোগকারী বৃদ্ধা বলেন, "ওসি স্যার খুব ভালো মানুষ। দ্রুত সমাধান করে দিয়েছেন। এমন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।"
স্থানীয় ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: ইসলাম শার্হ তাঁকে "আইনের শাসন, মানবিকতা, এবং প্রশাসনিক দক্ষতার সম্মিলনে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনের একজন আদর্শ কর্মকর্তা" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: শফিকুল আলম জিটু বলেন, তাঁর আচরণে কোনো অহংকার বা দূরত্ব নেই; সাধারণ মানুষ এখন ভরসা নিয়ে থানায় আসে।
ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, আরএমপি-এর সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান স্যারের দিকনির্দেশনা ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তিনি দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তাঁর জীবনের লক্ষ্য হলো মানুষের সেবা করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।