আপলোড সময় : ১১-০৯-২০২৫ ০৫:১১:২২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৯-২০২৫ ০৫:১৬:০৬ অপরাহ্ন

রাজশাহীর পুঠিয়ায়

বৃহত্তর হাটে জবাইকৃত গরুর পেট থেকে পাওয়া গেল বাছুর, আলোচনা সমালোচনার ঝড়



 
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বিখ্যাত হাটে জবাই কৃত গরুর পেট থেকে বাছুর পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই স্থানীয় জনতা মাংস বিক্রয়ের ঘর ভাঙচুর করে। এছাড়াও তাৎক্ষণিক  মাংসগুলো জব্দ করে। 
 
বৃহস্পতিবার(১১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বানেশ্বর বাজারে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
 স্থানীয়রা জানান, ভোরের দিকে কসাই রিয়াজুল ইসলাম মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি গাভী গরু জবাই করে। মাংস বিক্রয়ের জন্য গরুকে প্রস্তুত করার সময় লক্ষ্য করে দেখে গরুর পেটে একটি বাচ্চা। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রিয়াজুল তার সাথে থাকা রাজুকে দিয়ে গরু জবাইয়ের পাশেই একটি গর্ত করে সেখানে পুতে রাখে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজুকে কি পুতে রেখেছে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে শিকার না করলেও ভয়ভীতি দেখানোর পরে সে পুতে রাখা বাছুরের কথা স্বীকার করে। পরে স্থানীয়রা পুঁতে রাখা বাছুরটিকে গর্ত থেকে তুলে নিয়ে আসলে বাজার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এবং মাংস বিক্রয়ের স্থানটি ভাঙচুর চালায় স্থানীয় ও হাটে উপস্থিত ক্রেতারা। কসাই রিয়াজুল ইসলামের নামে ইতিপূর্বেও মরা গরু জবাই করার কথা লোকমুখে শোনা যায়।
 
এই বাজারে গত ২৫ আগস্টেও পেটে বাচ্চা থাকা গরু জবাইয়ের কথা উঠলেও কৌশলে একটি অসুস্থ গরুর মালিকের বউ ও ভাইকে ধরে এনে একটি ভ্রাম্যমানের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়।
 
বানেশ্বর বাজারের কসাই রিয়াজুল ইসলাম বলেন, একটি মহল আমার জায়গাটি দখলের জন্য এ ধরনের অভিযোগ তুলে এবং আমকে ফাঁসানো হয়েছে।এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগে এসেছে সেগুলো সবই ভিত্তিহীন।
 
 পুঠিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সত্যতা পেয়েছি। আমরাও গরুর মাংস এবং বাছুর জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলেছি। এবং এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। এখন পর্যন্ত থানায় এ বিষয়ে কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি তবে এ বিষয়ে একটি মামলা হবে বলে তিনি জানান। 
 
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত )শিবু দাস বলেন, আমি জেলা মিটিংয়ে ছিলাম বানেশ্বর হাটের বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমাকে অবগত করেছে। আমি জেলার মিটিং থাকায় আর গরুর মাংস বিক্রেতা পালাতক ছিলো সেজন্য ভ্রাম্যমান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে যে কেউ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিষয় প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান, নির্বাহী সম্পাদক : আরিফ হোসেন, বার্তা সম্পাদক : মোশারফ হোসেন, উপদেষ্টা : ফাতেমা বেগম
ই-মেইল: 24sonalirajshahi@gmail.com, ওয়েবসাইট : www.sonalirajshahi.com, বার্তা বাহক নম্বর: 01715801785, 01766227626, 01784336244, 01712414708