নিউজ ডেস্ক : বগুরায় আশ্রয় নিতে এসে এলাকার বখাটেদের হাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন গার্মেন্টস কর্মীসহ ২জন । তারা সম্পরকে খালা ভাগ্নি। দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় এক প্রেস কনফারেন্সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকেরা। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল আসামিসহ এজাহারনামীয় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ১২ জুলাই কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ থেকে এক সহকর্মী আর ভাগ্নিকে নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ওই ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী। বগুড়া শহরের বারোপুরে বাসটি নষ্ট হলে সহকর্মী রব্বানীর বন্ধু কাহালু পাইকড়ের ভ্যানচালক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
পরদিন বিষয়টি জেনে স্থানীয় বখাটেরা রাজ্জাকের নামে কুৎসা রটাতে থাকে। এতে ১৩ জুন সন্ধ্যায় রংপুরের বাস ধরার উদ্দেশ্যে রাজ্জাকের অটোভ্যানে করে রওনা দেন দুই ভুক্তভোগী ও সহকর্মী রব্বানী। পথে বাগইল গ্রামের বড় পুকুর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে মানিক, রাকিব, শাকিল, প্রান্ত, হাবিবসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন ভ্যানের গতিরোধ করে ভুক্তভোগীদের কাছে থাকা নগদ ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় গার্মেন্টস কর্মী ওই নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাগ্নিকে পৃথক স্থানে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা। বুধবার কাহালু থানায় মামলা করলে সন্ধ্যা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে মামলার মূল আসামি আবুল কাশেম মানিকসহ এজাহারনামীয় মোট পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- কুশলিহার গ্রামের আশরাফ আলী ফকিরের ছেলে আবুল কাশেম মানিক (৩৫), বাগোইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ রাকিব হাসান (২৩), বাগোইল উত্তরপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ শাকিল হোসেন (২৩), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আতিক হাসান প্রান্ত (২২) এবং কুশলিহার পূর্ব পাড়ার মোস্তফা ফকির ওরফে মুস্তা ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। আদালতে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ডাকাতি ও দলবদ্ধ ধর্ষণের এই মামলায় বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ